বরিশালে ‘শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে দুষ্কৃতকারীরা
বরিশাল নগরীতে সোমবার একদিনে অন্তত তিন স্থানে ‘শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করছে দুষ্কৃতকারীরা। নগরীর পোর্ট রোডের একটি আবাসিক হোটেল, উজিরপুরের ইছলাদীতে ট্রাক থামিয়ে এবং ভিন্নমতের এক শিক্ষকের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগে জানা যায়, ‘শিক্ষার্থী’ পরিচয়ে সোমবার নগরীর পোর্টরোডের একটি আবাসিক হোটেলে প্রবেশ করে দুষ্কৃতকারীরা। এ সময় তারা হোটেল মালিক আজিজুল ইসলামকে জানান, তার হোটেলে হামলা-ভাঙচুর হবে। এ ঘটনা থেকে রেহাই পেতে ৭ হাজার টাকা চাঁদা তুলে দেন ওই হোটেল মালিক আজিজ। এ ছাড়া উজিরপুরের ইছলাদী এলাকায় সোমবার রাত আড়াইটায় পটুয়াখালীগামী একটি ট্রাকের গতিরোধ করে শিক্ষার্থী পরিচয়ে একদল যুবক। তখন ট্রাকে অবৈধ মালামাল আছে দাবি করে চালক আবদুল মালেকের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় দুষ্কৃতকারীরা। একই দিন নগরীর সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক শিক্ষককে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে জানান কিছু যুবক। এরপর ওই শিক্ষককে ভয়ভীতি দেখাতে থাকে তথাকথিত শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনা থেকে বাঁচতে ওই শিক্ষক প্রায় ২০ জন যুবককে একটি রেস্টুরেন্টে আপ্যায়ন করান। তখন ওই শিক্ষকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া মঙ্গলবার নগরীর ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের টিয়াখালী এলাকায় বাবা ও ছেলের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী পরিচয়ে দুষ্কৃতকারীরা হানা দিয়েছে। সেখানে বিরোধ মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য কথিত শিক্ষার্থীরা বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে ছেলেকে জমি দখলে সহায়তা করবেন বলে জানান দুষ্কৃতকারীরা।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জিহাদুল কবির বলেন, এ জাতীয় সমস্যা সমাধানে আমরা আজ (বুধবার) সেনাবাহিনী-শিক্ষার্থীদের নিয়ে মিটিং করেছি। এসব দুষ্কৃতকারীদের প্রতিরোধে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে।