হিন্দুয়ানী শিক্ষানীতি বাতিল করে ৯২ ভাগ মানুষের
চিন্তা চেতনার আলোকে প্রণয়ন করতে হবে
– মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম
হিজলা প্রতিনিধি: মোঃ বরকত শিকদার।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে আওয়ামীলীগ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে। কারিকুলাম দেখলে মনে হবে না যে, এটা কোন মুসলিম দেশের কারিকুলাম। এ জন্য কারিকুলাম ২০২১ এর রুপরেখা বাতিল করে নতুন কারিকুলাম প্রণয়ন করে শিক্ষাকে রক্ষা করতে হবে। এ শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দেশের সচেতন অভিভাবকগণও বাতিল চেয়ে আন্দোলন করে আসছে। তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থতাকে বিশ্বমানের শিক্ষায় রূপান্তর করে যুগ চাহিদার আলোকে প্রণয়ন করে যোগ্য, দক্ষ জাতি গঠন করা প্রয়োজন। নৈতিকতা বিবর্জিত শিক্ষা বাতিল করে আদর্শ নাগরিক গড়ার উপযোগি হিসেবে গঠন করতে হবে।
গতকাল শনিবার পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সিনিয়র নায়েবে আমীরের সাথে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ইসলামী আন্দোলন নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিয়িাম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম। জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ড. মাসুম রব্বানী, ড. মাসউদুর রহমান, আমির হোসেন, নেছারাবাদ মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা খলিলুর রহমান নেছারাবাদী, মাদরাসা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. ইয়াকুব আলী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম, প্রফেসর কামরুল ইসলাম, ইসলামী ইউনিভার্সিটি এন্ড টেকনোলজীর অধ্যাপক রায়হান, ডা. মেহেদী হাসান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ, অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার সকল অসংগতি দূরীকরণে হিন্দুয়ানী শিক্ষা ব্যবস্থা বাতিল করে দেশপ্রেমিক ইসলামী স্কলার ও আলেমদের সমন্বয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করে নতুনভাবে শিক্ষাকারিকুলাম প্রণয়ন করার দাবি জানানো হয়। খুব শিগগিরই একটি নতুন শিক্ষার রুপরেখা শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে প্রেরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শিক্ষা ব্যবস্থার সকল অসংগতি তুলে ধরে শিক্ষক নেতৃবৃন্দ খোলামেলা মতামত দেন। সে আলোক নতুন নতুন কারিকুলামের রুপরেখা ও প্রস্তাবনা দেয়া হবে।