বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকদের কর্মতৎপরতা
হিজলা প্রতিনিধি:: মোঃ বরকত শিকদার।
ভারতের পানি আগ্রাসন সম্মিলিতভাবে রুখে দাড়াতে হবে -পীর সাহেব চরমোনাই।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, ভারতের পানি আগ্রাসন রুখে দিতে হবে সম্মিলিতভাবে। ভারত যে অপরাধ করেছে তা ক্ষমার অযোগ্য। আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করে বিচার চাওয়া উচিত। অসময়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে অন্যায়ভাবে বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের বাংলাদেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে ইতিহাসের ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করে মানবতা বিরোধী অপরাধ করেছে। এই অপরাধের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে বলিষ্ঠভাবে এখনই সোচ্চার হতে হবে। দুই দেশের অভিন্ন ৫৪টি নদীর ৫১টি নদীতে আন্তর্জাতিক নদী আইন অম্যান্য করে ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য উজানে অসংখ্য বাঁধ, ব্যারেজ দিয়েছে এবং ভিন্নখাতে একতরফাভাবে পানি ছাড়ছে ও প্রত্যাহার করছে। ভারতের এই পানি আগ্রাসনের কারণে গোটা বাংলাদেশে আজ বর্ষায় তলিয়ে যাচ্ছে এবং গ্রীষ্মে মরু আকার ধারণ করছে। ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প আন্তর্জাতিক নদী আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন। এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে আহ্বান জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ভারত বাংলাদেশের কল্যাণ কখনো চায়নি। এজন্য ভারত সময়ে অসময়ে বাংলাদেশের ক্ষতি সাধন করতেই বেশি পছন্দ করে। তিনি নদী শাসনে অনিয়মের কারণে নদীমাতৃক দেশের প্রায় প্রতিটি নদীই অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন। ফলশ্রুতিতে স্বল্প বর্ষনেই যত্রতত্র বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনগণকেও সচেতন হতে হবে এবং রাষ্ট্রকে এখনই যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, বন্যায় দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে ছুটে যাওয়াই এই মুহূর্তে ইসলামী আন্দোলন ও সহযোগী সংগঠনের বড় কাজ। তিনি বলেন, যারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত আমরা তাদের দুঃখে পাশে থাকবো এবং তাদের সহায়তা করে যাবো। দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের কাছে ছুটে যাওয়া এবং বন্যার্ত মানুষের পাশে থাকা এই মুহূর্তে আমাদের প্রধান কাজ। ভারতের পানির কারণে আজ বাংলাদেশ ভেসে যাচ্ছে। মানুষ দুঃখ ও দুর্ভোগের মধ্যে আছে। অনেকে ঘর বাড়িতে থাকতে পারছে না। কোলের সন্তান নিয়ে কোথায় যাবে দিশেহারা হয়ে উঠেছে। তাদের একটু সহানুভূতির প্রয়োজন। তাদের মাঝে আমাদের সাহায্যের হাত অব্যাহত থাকবে।
ইসলামী আন্দোলনের আমীর এ মুহুর্তে সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান, সাহায্য সংস্থা সহ দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি বন্যা কবলিত অঞ্চলে দ্রুত মানবিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসতে নির্দেশনা দেন।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইসলামী আন্দোলনের স্বেচ্ছাসেবকদের কর্মতৎপরতা : গতকাল থেকে শুরু হওয়া বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ইসলামী আন্দোলন এবং এর সকল সহযোগি সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকদের কর্মতৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলমের নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় টিমও ফেনী এলাকায় রয়েছেন। কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, বি-বাড়ীয়া, খাগড়াছড়ি, সিলেট, চট্টগ্রাম অঞ্চলে ইসলামী আন্দোলনের হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন।