বরিশালের একমাত্র দ্বিপ উপজেলা মেহেন্দিগঞ্জ , নেই সড়ক যোগাযোগ বেবস্থা তাই প্রায় ৮ লক্ষ মেহেন্দিগঞ্জের বাসিন্দারা বাদ্য হয়ে লঞ্চে যাতায়াত করে,সেই সুযোগ কে পুঁজি করে বিগত বহুবছর ধরে লঞ্চ কতৃপক্ষদের অতিরিক্ত লঞ্চ ভাড়া এবং যাত্রী হয়রানি নানা অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে তাদের নিজেদের মন মত ভাড়া নির্ধারণ করে ভাড়া আদায় করে আসছে লঞ্চ কতৃপক্ষ, যেমন সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়েও দিগুন করে আদায় করছে লঞ্চ কতৃপক্ষ এমন অভিযোগ মেহেন্দিগঞ্জের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মেহেন্দিগঞ্জের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম ঢাবির সাবেক ছাত্রী এডভোকেট ফাতেমা আক্তার সাথীর নেতৃত্বে একটি টিম স্মারকলিপি চেয়ারম্যান বরাবর জমা দিতে BIWTA হেড অফিস মতিঝিল এ যায় এবং তার আগেই নৌপথের দুরুত্ব নিয়ে সংশয় থাকায় BIWTA এর হাইড্রোগ্রাফি বিভাগে নৌপথে দুরুত্ব চেয়ে দরখাস্ত করে , এবং সেই দুরুত্ব ম্যাপ হাতে পেয়ে দেখা গেলো :- বিগত বহুবছর ধরে ঢাকা থেকে মেহেন্দিগঞ্জের নৌপথে দুরুত্ব দেখিয়ে আসছে ১৬৬ কিলোমিটার কিন্তু ওই ম্যাপে স্পস্ট ১০৯ কিলোমিটার দুরুত্ব , তাহলে বিগত বছর গুলো কেনো ১৬৬ কিলোমিটার এর থেকেও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে সকলের একই প্রশ্ন।এই বিষয়ে BIWTA এডিশোনাল সেক্রেটারি মহোদয় মোঃ সেলিম ফকির জানান,এটা তার জানা ছিলো না,তবে ৭ দিনের মধ্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২ জনকে নিয়ে ২০ জনের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং খুব শীঘ্রই সঠিক দূরুত্ব অনুযায়ি ভাড়ার নতুন তালিকা হবে । এবং সে আরো জানান যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা যে দাবি গুলো করেছে :- অতিরিক্ত লঞ্চ ভাড়া বন্ধ, প্রবাসী হয়রানির বন্ধ, লঞ্চে লা*শ রাখার শু বেবস্থা এবং লা*শের জন্য ভাড়া না নেয়া, দিনে এবং রাতে নৌ-পুলিশ টহলের ব্যবস্থা যাত্রীদের নিরাপত্তায়, লঞ্চ ঘাটে
চাঁদাবাজি বন্ধ, জোর পূর্বক কুলিদের বস্ত্র এবং মালামাল বহন বন্ধ, ঘাট টিকেট সিমিত, লঞ্চে খাবারের মান ভালো করা, এবং যাত্রীদের সাথে সদাচরণ করা ইত্যাদি উপস্থাপন করেছে সব গুলো যৌক্তিক দাবি এগুলো অবশ্যই বিবেচনা করে খুব শীঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে।