বরিশাল শহরের আমানতগঞ্জে অবস্থিত একটি কওমি মাদ্রাসা। ১৯৪৭ সালে এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন সৈয়দ মাহমুদ মুস্তফা আল মাদানি। ১৯৮৩ সালে মাদ্রাসাটির বর্তমান নামকরণ করা হয়। ২০০৪ সাল থেকে এখানে ফিকহ বিভাগ চালু করা হয়। বর্তমানে এ মাদ্রাসার মুহতামিম হিসেবে দায়িত্বরত আছেন ওবাইদুর রহমান মাহবুব। ১৯৫৮ সালে এখানে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) খোলা হয়। ২০১৯ সালে মাদ্রাসার ছাত্রসংখ্যা ১২০০ জন। দারুল উলুম দেওবন্দের প্রথম ছাত্র মাহমুদ হাসান দেওবন্দির নামানুসারে মাদ্রাসাটির নামকরণ করা হয়েছে।
বরিশালে মাহমুদিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের জঘন্য স্বৈরাচারীতা এবার এলাকার জনগণের সামনে আরো পরিস্কার ভাবে ফুটে উঠেছে, জামেয়া মাহমুদিয়া বরিশাল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ওবায়দুর রহমান মাহাবুব সাহেবের ন্যাক্কার জনক স্বৈরাচারিতার কর্মকাণ্ড গত ৬/০৯/২০২৪ ইং রোজ বৃহস্পতিবার ইসলামিয়া কলেজ মসজিদে এলাকাবাসীর এক গন জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপত্ত্বি করেন অত্র মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ জাহাঙ্গীর সাহেব।বক্তব্য রাখেন মাহমুদীয়া মাদ্রাসার মুঈনে মুহতামিম হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ হুসাঈনি তিনি বলেন কওমি মাদ্রাসা হচ্ছে জনগণের মাদ্রাসা,
কাজেই মাহমুদিয়া মাদ্রাসা দেখাশুনার দায়িত্ব আপনাদের। সেখানে আরো বক্তব্য রাখেন উক্ত মাদ্রাসার সিনিয়র ওস্তাদ জনাব মাওলানা সানাউল্লাহ মাহমুদী, তিনি বলেন ওবায়দুর রহমান মাহবুব সাহেব স্বেচ্ছাচারিতা করে ক্ষমতার জোর খাটিয়ে চলমান কমিটি বাতিল করে ইচ্ছে মত নতুন কমিটি তৈরি করেছে, এবং নিজের ভাইয়ের ছেলেদের চাকরিতে ঢুকিয়ে আমাকেসহ অন্যান্য শিক্ষকদের বহিষ্কার করেছে।
এ যেন হাসিনার রূপ। -এদিকে মাননীয় হাইকোর্ট মাহবুব সাহেবের নতুন কমিটি বাতিল ঘোষণা করেছে, সেখানে আরো বক্তব্য রাখেন অত্র মাদ্রাসার প্রধান মুফতি জনাব সানাউল্লাহ সাহেব তিনি বলেন:- মাহবুব সাহেব আমাকে অন্যায় ভাবে চাকরিচ্যুত করে বেতন ও খানা সব বন্ধ করে দেয় এবং গভীর রাতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার ঘরে হামলা চালিয়ে বাসা থেকে অন্যায় ভাবে আমাদের পরিবারসহ বের করে দিয়েছে। এর আগে আমার বাসার বিদ্যুৎ লাইন পানির লাইন বন্ধ করে দেয়। উপস্থিত জনগণ মাহবুব সাহেবের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে মাহবুব সাহেবের স্বৈরাচারিতা তুলে ধরে দারুল উলুম বরিশাল মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি ওমর ফারুক বলেন,-আমি হক কথা বলার কারণে এবং মাহমুদিয়ার প্রিন্সিপালের অন্যায় অবিচার জুলুম অনলাইনে তুলে ধরার কারণে ও মুফতি সানাউল্লাহ সাহেবের সাথে থাকার কারণে প্রিন্সিপাল মাহবুব সাহেব তার ছোট ছেলে হামিদ ও তার সঙ্গোপাঙ্গ যথা skm জুতার দোকানদার সাজিদ, প্রিন্সিপালের খাদেম মাহাদি ইয়াকুব সহ প্রায় ৩০জন গুন্ডা বাহিনী নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাতে আমার মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে রাস্তায় পড়ে যাই। সাথে থাকা মোবাইল ঘড়ি চশমা সহ যাবতীয় জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এভাবেই এলাকাবাসী জনগণের সামনেই প্রিন্সিপাল মাহবুবের অন্যায় জুলুম, ও স্বৈরাচারিতা ফুটে ওঠে। এছাড়াও উক্ত জন জামাতে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মোস্তাফিজুর রহমান রাংগুসাহেব তিনি বলেন মাহমুদী মাদ্রাসা একটি কওমি মাদ্রাসা যা জনগণের অর্থে সাহায্যে পরিচালিত হয় কিন্তু প্রিন্সিপাল মাহবুব সাহেব সেটাকে পৈত্রিক সম্পত্তি হিসেবে কুক্ষিগত করে রেখেছে। তা উদ্ধার করা জনগণের ঈমানী দায়িত্ব। সব জুলুম অন্যায়ের বিচার হবে, আপনারা প্রস্তুত থাকুন। তাতে এলাকার জনগণ সকলে একমত পোষণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতির অনুমতিক্রমে মুফতি সানাউল্লাহ সাহেব দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন।