মির্জাগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে চাঁদাবাজি,লুটপাট ও মারধরের অভিযোগে উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক সহ আঠারো জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পূর্ব সুবিদখালীর মোঃ সিদ্দিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন মির্জাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ রুবেল মৃধা,উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ আবুল বাশার মোখলেচ,উপজেলা যুবদলের সদস্য মোঃ সাইফুল রাড়ী,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের মোঃ সেজান জাকির,মােঃ তারেক রাড়ী, মােঃ রবিউল রাড়ী, মােঃ হাসান রাড়ী,সজীব,মােঃ লিটন রাড়ী,মোঃ শাহীন হাং, মােঃ জুয়েল দফাদার,মােঃ রাব্বি,মােঃ হাফিজুল রাড়ী,মােঃ রহমাতুল্লাহ, রাকিব, রেজাউল,মােতালেব, আবুল
খায়ের সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেকজন।
এর বিবরণে উল্লেখ করা হয়,গত সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে অভিযুক্তরা বেপরােয়া হইয়া উঠে এবং এলাকায় মারধর, চাঁদাবাজি, ভাঙচুর, রাহাজানি ইত্যাদি করে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি অব্যাহত রেখে চলেছে। মোঃ রুবেল মৃধা একজন প্রভাবশালী ও ধনাঢ্য লােক। তাঁর নেতৃত্বে বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। এমনকি বাবুল শীল নামক এক হিন্দু ব্যক্তির সম্পদ লুট করা হয়েছে। তাকে নিঃস্ব করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আরো বলা হয়,মোঃ রুবেল মৃধার নেতৃত্বে পাঁচ জন মিলে গত এক সপ্তাহ পূর্বে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ভুক্তভোগী বাদী মোঃ সিদ্দুকুর রহমানের নিকট। এমনকি ঘটনার একদিন আগে এসেও সুবিদখালী কবুতর ব্রীজ সংলগ্ন মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের বিল্ডিংয়ের সামনে এসে অভিযুক্তরা পূর্ব দাবীকৃত চাঁদা দিতে বলেন। না দিলে বিল্ডিংয়ের কাজ এবং সুবিদখালী বাজারে ব্যবসা বন্ধ করার হুমকি দেয়। ঘটনার দিন মোঃ রুবেল মৃধার নেতৃত্বে অন্যান্য অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র রামদা, লােহার রড, লােহার পাইপ, ছ্যানা, চাপাতি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে এসে বাদী মোঃ সিদ্দিকুর রহমানকে মারধর শুরু করে। তাকে রক্ষার জন্য তাঁর সন্তান ও অন্যান্যরা এগিয়ে আসলে তাদেরকেও মারতে থাকেন। এক পর্যায় অভিযুক্তরা চার লক্ষ টাকার স্বর্ণ অলংকার ও নগদ ষাট হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
অভিযুক্তদের মধ্যে মোঃ রুবেল মৃধা,আবুল বাশার মোখলেচের কাছে এ বিষয় জানার জন্য একাধিকবার কল করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মির্জাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন,দুটি অভিযোগ পেয়েছি দুইটি পক্ষের নিকট থেকে। আমরা দুইজন অফিসারকে তদন্ত করার জন্য দায়িত্ব দিয়েছি। যাছাই বাছাই করে সত্যতা পেলে মামলা হিসেবে গ্রহণ করে নিব এবং পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব।